শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
নতুন নেশা ‘ট্যাপেন্টাডল’ আসছে চোরাইপথে

নতুন নেশা ‘ট্যাপেন্টাডল’ আসছে চোরাইপথে

নতুন নেশা ‘ট্যাপেন্টাডল’ আসছে চোরাইপথে
নতুন নেশা ‘ট্যাপেন্টাডল’ আসছে চোরাইপথে

এসএম বিশাল: গত দুই বছর আগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হওয়া ‘ট্যাপেন্টাডল’ মাদকসেবীদের নতুন নেশার উপাদান। হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়েছে। মাদক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ট্যাপেন্টাডলের উৎপাদন ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এখন চোরাইপথে দেশে আসছে এ মাদক।

জানা যায়, ব্যথ্যানাশক হিসেবে ব্যবহার হওয়া এ ওষুধটি মাদক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এটা সর্বপ্রথম নজরে আসে রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে। তাঁরা বিভাগের নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা মাদকসেবীদের থেকে এ ট্যাপেন্টাডলের অবৈধ ব্যবহার সম্পর্কে জানাতে পারেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে মন্ত্রণালয় এটিকে মাদক হিসেবে ঘোষণা করে।

জানা গেছে, ট্যাপেন্টাডল ও মিথাইল হাইড্রোক্লোরাইড জেনেরিক শ্রেণির এ ওষুধটি বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে উৎপাদন করতো। ওষুধটি মাদকসেবীরা ব্যবহার শুরু করলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। অসাধু ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি শুরু করে। ওষুধ মাদক হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি নজরে আসার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ তে ‘ট্যাপেন্টাডল’কে ‘ক’ শ্রেণির ‘খ’ সিডিউলভুক্ত করা হয়।

রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানান, সাধারণত নিম্ন আয়ের মাদকসেবীরা ইয়াবা ও হেরোইনের বিকল্প হিসেবে এই ওষুধটি ব্যবহার করছে। ওষুধটি আগে খুচরা ৩০ টাকা পাতা (১০টি ট্যাবলেট) মূল্যে বিক্রি হতো। কিন্তু মাদক হিসেবে ব্যবহারের পর একটি ট্যাবলেট ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, যেমন কোনো মাদক নার্ভকে উত্তেজিত করে, ঘুম ঘুম ভাব তৈরি করে, ঝিমুনিসহ অস্বাভাবিক অনুভূতি তৈরি করে যেটাতে মাদকসেবীরা আনন্দবোধ করে। এটা সময়িকভাবে তাদের সুখবোধ তৈরি করলেও পরবর্তীতে মারাত্মক ক্ষতির কালন হয়। আর মাদকসেবীরা মাদকের বিকল্প কিছু ওষুধের অবৈধ ব্যবহার করতে পারে। যেমন: উত্তেজক ওষুধ, ঘুমের ওষুধ। এগুলো অতিমাত্রায় খেলে নেশা হয়। তবে সব ওষুধে নেশা হয় না। আর ট্যাপেন্টাডল ব্যথ্যানাশক হিসেবে ব্যবহার হতো।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৮ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply